ঈদে মিলাদুন্নবী কবে সঠিক সময় ও দিন সম্পর্কে জানুন
আপনি কি ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে ঈদে মিলাদুন্নবী কবে সঠিক সময় ও দিন সম্পর্কে জানুন। এই সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত পড়ুন ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ঈদে মিলাদুন্নবী কবে সঠিক সময় ও দিন সম্পর্কে জানুন
- ঈদে মিলাদুন্নবী কবে সঠিক সময় ও দিন সম্পর্কে জানুন
- ঈদে মিলাদুন্নবীর সঠিক নিয়ম ও হাদিস সম্পর্কে জানুন
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৫ কত তারিখ
- ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ
- ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে বক্তব্য
- ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব তাৎপর্য
- ঈদে মিলাদুন্নবী বাংলাদেশের কত সাল থেকে উদযাপিত হয়
- ঈদে মিলাদুন্নবী প্রথম কে পালন করে
- ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস
- ঈদে মিলাদুন্নবীর বিদআত
- ঈদে মিলাদুন্নবীর করণীয় ও বর্জনীয় দিক
- ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল
- শেষ কথা বা মন্তব্য
ঈদে মিলাদুন্নবী কবে সঠিক সময় ও দিন সম্পর্কে জানুন
ঈদে মিলাদুন্নবী কবে সঠিক সময় ও দিন সম্পর্কে জানুন এই পোস্টটি পড়লে আপনারা ঈদে মিলাদুন নবী সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে পারবেন। এই ঈদে মিলাদুন্নবী দিবসটি অনেক বৃহত্তম উৎসবের দিন হিসেবে কিছু ইসলাম প্রাণধর্মী জনগোষ্ঠীদের ভিতরে পালিত হয়। সেই জাতির নাম হল সুন্নি গোষ্ঠী।
প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে সবারই একটি জন্মদিন রয়েছে আর এ জন্মদিন কে অনেকে
জন্মদিবস হিসাবে পালন করেন। আমরা সবাই শেষ নবীর উম্মত আমাদের শেষ নবী হযরত
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম এর ও একটি জন্মদিবস রয়েছে। আমাদের এই সারা বিশ্বের
অনেক মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষ এই দিনটিকে রাজকীয় ভক্তি শ্রদ্ধার সাথে আরবি মাসের
রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে ঈদে মিলাদুন্নবী কিংবা নবীর জন্মদিন পালন করেন।
নবীর জন্মদিন হিসাবে আমরা যে উৎসব পালন করে থাকি একে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী
বলি।
ঈদে মিলাদুন নবীর সঠিক নিয়ম ও হাদিস সম্পর্কে জানুন
ঈদে মিলাদুন্নবী মুসলমানদের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিবস। ঈদে মিলাদুন্নবী
কবে সঠিক সময় ও দিন সম্পর্কে জানুন। নবীজি জন্ম ওফাত দিন হিসাবে
উদযাপিত হয় । এটি পালিত হয় হিজরী সালের আওয়াল মাসের ১২ তারিখে এই দিনে আলেম ও
মুসলিমরা আনন্দ ও কষ্ট অনুভব করে কারণ এই দিনে তাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু সালামের জন্মদিন ও মৃত্যুদিন।
আরও পড়ুনঃ
পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
এই দিনকে নবীর প্রিয় বান্দারা নবীর আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করেন ।এই দিনে
অনেকে মিলাদ মাহফিল ও কোরআন তেলোয়াত পাঠের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করে ।এই দিন
উদযাপন করার মূল লক্ষ মহানবী (সঃ) সালামের শিক্ষা ও কর্ম সমাজে
প্রতিষ্ঠিত করা।
ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৫ কত তারিখ
বাংলাদেশের প্রায় ৯0% মানুষ মুসলিম জাতি তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই অবগত
যে ২০২৫ সালে ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ।আপনি যদি মুসলমান হয়ে
থাকেন তাহলে এই দিনটি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঈদে মিলাদুন্নবী
কবে সঠিক সময় ও দিন সম্পর্কে জানুন।
ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৫ সালে ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ইংরেজি মাসের ৫
সেপ্টেম্বর আর বাংলা মাসের ২১ ভাদ্র আরবি মাসের ১২ তারিখ রবিউল আউয়াল
সোমবার দিন। ৫ সেপ্টেম্বর এই দিনে মুসলমানরা একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়
করে উপহার প্রদান করে একত্রিত হয়ে এই দিনটি পালন করেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা নিয়ে আমাদের সমাজে আলেমদের বিভিন্ন রকমের মতভেদ রয়েছে। এটিকে কেউ কেউ জায়েজ মনে করে আবার কেউ নতুন প্রথা মনে করেন ।যারা এই দিনটিকে জায়েজ মনে করেন তাদের উক্তি হলো এই দিন মূলত আনন্দের দিন এই দিনে মহানবী সাঃ এর জন্মদিন পালন করা একটি উত্তম কাজ ।
এখন মূল বিষয়ে আসি ঈদের মিলাদুন্নবী হলো আমাদের শেষ নবী হযরত
মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মবার্ষিকী হিসেবে পালন করা হয় ।এই দিনে আমাদের প্রিয় নবী
পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। ইসলামে পরিভাষায় জানা গেছে কোন ব্যক্তির জন্মদিন বা
মৃত্যু দিন উদযাপিত করা জায়েজ নেই কারণ সেটি খ্রিস্টানদের ধর্মের মধ্যে
পড়ে এ সম্পর্কে মহানবী সাঃ বলেছেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে বক্তব্য
ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের জন্মদিন। ঈদে
মিলাদুন্নবী কবে সঠিক সময় ও দিন সম্পর্কে জানুন।এই দিনে মুসলমান ও আলেমগণ
গরীব দুঃখীর মাঝে দান-খয়রাত করে পুণ্যের কাজ করেন ও শোভাযাত্রার আয়োজন করে
বিভন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা পালন করে।
ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে পূর্ণ আলোচনা তে জানা গেছে যে সর্বস্ব আদর্শ হলো
মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের আদর্শ। ইসলামী বিদরা ব্যাখ্যা করেছেন রবিউল আওয়াল
মাসেই বিশ্বনবীর জন্মগ্রহণ করেন কিন্তু তারা নির্দিষ্টভাবে বলতে পারেনি যে ১২
রবিউল আওয়াল মাসে তার জন্ম হয়েছে।
ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য
এই দিন মূলত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের জন্ম বার্ষিকী মনে করিয়ে দেয় ।যিনি ছিলেন আমাদের সর্বশেষ নবী আর আমরা এই শেষ নবীর উম্মত তাই নবীর স্মরণীয় দিনগুলো আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে পালন করে থাকি। এই দিন স্মরণ করে আমরা আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টির অর্জনের জন্য চেষ্টা করি।
আরও পড়ুনঃ গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
ঈদে মিলাদুন্নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের জন্মদিন সে একথা নিজে কোনদিন
বলেননি এবং তার সাহাবীরা ও নবীর জন্মদিন পালন করেছ জানা যাইনি। অনেক
তদন্ত করে দেখা গেছে এটা কোন হাদিসে নেি।
ঈদে মিলাদুন্নবী বাংলাদেশের কত সাল থেকে উদযাপিত হয়
ঈদে মিলাদুন্নবী বাংলাদেশের একটি নজীব বিহীন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। বাংলাদেশে এটি বহুদিন ধরে পালন হয়ে আসছে কিন্তু এর কোন সাল বা দিনের সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি। এটি একটি ঐতিহাসিক উৎসব হিসেবে পালন হয়। ঈদে মিলাদুন্নবীপালিত হয় রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে।বাংলাদেশে এই দিনটিকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এই দিন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস। এই দিনে মুসলমান ধর্মীয় সম্প্রদায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করে। নানা রকম তথ্য থেকে জানা গেছে যে বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের ইতিহাস অনেক পুরনো এটি মূলত জাতীয় ছুটির দিন হিসাবে পালন করা হয় বেসরকারি ও সরকারিভাবে এই দিনে বিভিন্ন রকম শোভাযাত্রার ব্যবস্থা করা হয়।
ঈদে মিলাদুন্নবী প্রথম কে পালন করে
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী কে পালন করে সেটার সঠিক তথ্য জানা যায়নি ।তবে অনেকে বলে থাকেন মুঘল সম্রাট আকবর ১৬৩০ সালে প্রথম প্রথা চালু করেন। এই দিনটি উদযাপন শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় এটা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের একত্র করার একটি বড় ধরনের উদ্যোগ।
আরবি আরবি হিজরী সালের তৃতীয় মাসের ১২ তারিখে রবিউল আউয়াল এই দিনটি পালন
করা হয় মুসলমান জাতি এই দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে চিহ্নিত করেন।
অপরপ্রান্তে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জাতি কাছে এই দিনটি তারা নবী দিবস হিসাবে পালন
করেন।
ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস
ঈদে মিলাদুন্নবী হলো আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের জন্মদিন
। মিলাদুন্নবী সাধারণভাবে দেখতে গেলে মিলাদ নামে পরিচ। এটি মুসলমানরা সারা
বিশ্বের আনন্দ উল্লাসের সঙ্গে পালিত করে কেউ কেউ আবার এটিকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করে
আবার অনেকে এটি স্মরণীয় দিন হিসেবে পালন করে।
ইতিহাস অনুপাতে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের রচনা বেশ পরে হয়েছে। আবার অনেকে মনে
করেন সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় ধরনের উৎসব।
এটি বিশ্বের মানুষ বিভিন্নভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থাৎ নবীর জন্মদিন পালন করে
থাকেন।
ঈদে মিলাদুন্নবীর বিদআত
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা বিদআত এটা নিয়ে আলেমদের মধ্যে নানা রকম মতবিরোধ
রয়েছে। তার কারণ হলো রাসূল সাঃ সালামের সাথীরা এটি পালন করেনি আবার কিছু
আলেম এটা পালন করে তার কারণ এটি পালনের মধ্য রাসুলুল্লাহ সালামের প্রতি
ভালোবাসা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নবী সাল্লাল্লাহু সালাম কোনদিনও তার জন্মদিন পালন করেননি বা তার সাহাবীরা ও সেটা
করেননি তাই যদি কেউবা কারা এটা বাধ্যতামূলকভাবে ধর্মের মধ্যে পালন করে থাকে তবে
তা বিদআত বলে গন্য হতে পারে।
ঈদে মিলাদুন্নবীর করণীয় ও বর্জনীয় দিক
ঈদে মিলাদুন্নবীর করনীয় দিক হলো এই দিনে আমরা আল্লাহর প্রতি বেশি বেশি দরুদ
তিলাওয়াত করব নফল ইবাদত করব কুরআন তেলাওয়াত করব গরিব কাঙাল ব্যক্তিদের
সাহায্য সহযোগিতা করব আত্মীয় স্বজনের খোঁজ খবর নিব একে অপরের মধ্যে শুভেচ্ছা
বিনিময় করব।
ঈদে মিলাদুন্নবী বর্জনীয় দিকগুলো এই দিনে আমরা প্রিয় আত্মীয়-স্বজন
বন্ধু-বান্ধব পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবনা। গান বাজনা কোন
খারাপ কাজ করবো না এমন কিছু কাজ করলে মনে হবে বিদআত সে কাজ করবো না। কারো মনে
দুঃখ বা কষ্ট দিব না অন্যের ক্ষতি সাধন করব না এভাবে আমরা
মিলাদুন্নবীর বর্জনীয় দিক থেকে বিরত থাকবো।
ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল
ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের পক্ষে নির্দিষ্ট কোন দলিল বা কুরআনে কোন হাদিস উল্লেখ নেই কিন্তু মহানবী সাঃ এর জন্মদিন উপলক্ষে এই দিনে আমরা আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করি এবং তার আদর্শ শিক্ষা অনুসারে ভাল কাজ করি এর মধ্যে আলেমদের কিছু মতবিরোধ রয়েছে।
আলেমগণ মনে করেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের জন্মদিন হিসাবে এই দিনে আনন্দ উল্লাস করা একটি ভালো কাজ। আবার অনেক আলেমগণ মনে করেন ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা পালন করা ইসলাম ধর্মের সমর্থন আছে তেমনি ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা নতুন একটি প্রথা।শেষকথা বা মন্তব্য
সম্মানিত প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা ইতিপূর্বে আলোচনা করলাম ঈদে মিলাদুন্নবী কবে সঠিক সময় ও দিন সম্পর্কে জানুন। মনে করছি যে বিষয়ে আলোচনা করলাম তা আপনারা সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন। আপনারা যে সকল বিষয় জানতে পারলেন তা পালন করার চেষ্টা করবেন আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম তার আদর্শ শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণ করায় উত্তম মনে করছি।
আরও পড়ুনঃ
তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
আমাদের প্রিয় নবী কোনদিনও কারো নিজের জন্মদিন বা মৃত্যুদিন পালন করতে বলেননি তার মনে হতো জন্মদিন বা মৃত্যুদিন পালন করা খ্রিস্টানদের আনন্দ অনুষ্ঠানে মধ্যে পড়ে। তাই মনে করছি যে সকল কাজ ইসলাম বিরোধী বিদআত কাজথেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আজকের আমাদের এই পোস্ট যদি আপনার কাছে ভালো মনে হয় তবে বেশি বেশি শেয়ার
করুন আপনার প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছে দিন কিভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী সঠিক সময়েও
দিন সম্পর্কে জানা যায় তার সহজেই এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url