পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় জানানোর জন্য আজকের এই পোস্টটি লেখা। ছাত্র জীবনে আমাদের সবারই স্বপ্ন পড়ালেখা করে কিভাবে বড় হওয়া যায় স্বপ্ন দেখা সহজ কিন্তু সেটা বাস্তবে রূপান্তর করা অনেক কঠিন।
আজকের এই পোস্টটি পড়লে আপনারা সবাই জানতে পারবেন পড়ালেখায় মনোযোগী বাড়ানোর জন্য কি কি করণীয় করা উচিত।তাছারা আরো জানতে পারবেন পড়ালেখার সম্বন্ধে বিভিন্ন বিজ্ঞান সম্মত বিষয়গুলো। তবে চলুন আর দেরি না করে মূল বিষয় যাওয়া যাক আর আপনারা একটু ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
পেইজ সূচিপত্রঃপড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
- পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
- পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক দোয়া বা মন্ত্র
- প্রথমে সহজ পড়া দিয়ে শুরু করতে হবে
- পড়ালেখার জন্য সঠিক সময় ও স্থান নির্ধারণ করতে হবে
- রুটিন অনুযায়ী পড়ালেখা তৈরি করতে হবে
- বেশি বেশি লেখার প্র্যাকটিস করতে হবে
- পড়ালেখার মাঝে বিরতি নিতে হবে
- মোবাইল বা ফোন থেকে দূরে থাকতে হবে
- পড়াশুনায় মন বসানোর টোটকা
- মন্তব্য বা শেষ কথা নতুন
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে এই পোস্টটি আমরা আপনাদের বলবো লেখাপড়া মনোযোগী বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি।আল্লাহর রহমতে মানুষের মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা অনেক বেশি।
পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহর পরিচালিত পথে যারা মস্তিষ্কে ভালো কাজে লাগাতে পেরেছে তারাই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বিজ্ঞানী ইত্যাদি হতে পেরেছে অন্যদিকে যারা লেখাপড়ায় যোগী হতে পারেনি তারা দুর্ভোগকে হতাশায় ভুগছেন।
ভালো কাজ করে আল্লাহর ভরসায় যারা চলেছেন তারাই হাতে গোনা কয়েকটি ছাত্রছাত্রী পড়ালেখায় মনোযোগী হয় এবং তারাই জীবনে সাফল্যর চাবিকাঠি অর্জন করে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বিজ্ঞানী ইত্যাদি হয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে । আর যারা আল্লাহকে ভরসা করতে পারেনি তারা বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা না করে ঝরে পড়েছে।
পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক দোয়া বা মন্ত্র
পড়া মনে বা মাথায় রাখার জন্য কিছু দোয়া ও মন্ত্র রয়েছে।কিন্তু নির্দিষ্ট কোন দোয়া বা মন্ত্র কোরআন ও হাদিসে নেই যেটা পড়লে নির্দিষ্টভাবে পড়া মনে থাকবে। তবে কিছু আমল আছে স্মৃতিশক্তি মনোযোগী বৃদ্ধিতে সাহায্য করে মনোযোগী বাড়ানোর অর্জনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য এবং সেই সাথে জ্ঞান ও একাগ্রতা ধরে রাখার কিছু আমল।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার কারণ
এর মধ্যে মন্ত্র হলোঃ"রাব্বি জিদনি ইলমা "। এর অর্থ হল,"হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন "।
দোয়া হলঃ"আল্লাহুম্মা আখরি জনি মিন জুলুমাতিল ওয়াহ মি ওয়া আকরিমনি বে নূরিল ফাহমি"। এর অর্থ হল, হে আল্লাহ আমাকে সন্দেহের অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে আনুন এবং আপনার জ্ঞান দ্বারা আলোকিত করুন এবং আপনার অনুগ্রহের দরজা খুলে দিন।
প্রথমে সহজ পড়া দিয়ে শুরু করতে হবে
পড়ালেখার গতি বাড়ানোর জন্য সব সময় সহজ দিক দিয়ে আরম্ভ করতে হবে প্রথমেই কঠিন ইস্যু দিয়ে শুরু করলে আপনি সেটা বুঝতে পারবেন না। কঠিন কিছু দিয়ে শুরু করলে আপনার সেটা মনোযোগ ও আগ্রহ নষ্ট করে ফেলে সেই জন্যই শুরুতে সহজ সাধ্য কোন বিষয় নিয়ে শুরু করতে হবে।
এতে করে মনোযোগ ও আগ্রহ ধৈর্য সবকিছুই বাড়বে এতে করে পরবর্তীতে পড়ালেখা করার মনবল বারে ও কঠিন বিষয় গুলো বুঝতে সুবিধা হয়। সহজ কিছু নিয়ে শুরু করলে মন ভালো লাগে পড়তে সুবিধা হয় আর মন ভালো থাকলে পড়ালেখাও ভালো লাগে।
পড়ালেখার জন্য সঠিক সময় ও স্থান নির্ধারণ করতে হবে
পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর জন্য সঠিক সময় ও নির্ধারণ করতে হবে। পড়ার জন্য এমন এমন সময় বেছে নিতে হবে শেষ সময় গুলো শান্ত ও অনুকূল পরিবেশের হয়। আর স্থান হতে হবে ঘরের সবচাইতে ভালো জায়গা যেখানে ভালো আলো বাতাস সরবরাহ আছে। পর্যাপ্ত আলো বাতাস থাকলে যে জায়গায় পড়াশুনার আগ্রহ মনোযোগ বাড়ে।
আলো বাতাস পর্যাপ্ত থাকায় মন মেজাজ ভালো থাকে এবং পড়াশুনায় মন বসে।একটি কথা মনে রাখতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পড়াশুনা কমপ্লিট করতে হবে আর পড়াশোনা শেষে বই খাতা গুছিয়ে রাখতে হবে যাতে পরবর্তীতে পড়তে বসার সময় বই খাতা এলোমেলো কারণে মেজাজ খারাপ হয়ে পড়াশুনার মনোযোগ নষ্ট না হয় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। পড়াশোনা মনোযোগী হওয়ার কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া হল
- স্থান নির্বাচন
- লক্ষ্য নির্ধারণ
- গ্যাপ দিয়ে পড়ুন
- বিষয় নির্বাচন
- পুরস্কার নেওয়ার টার্গেট
- ফোন থেকে বিরতি
- মন দিয়ে পড়া
- লেখার অভ্যাস
- প্রাকৃতিক দৃশ্য
- অন্য বিষয়ে চিন্তা না করা
রুটিন অনুযায়ী পড়ালেখা তৈরি করতে হবে
আমাদের এই দুনিয়াতে সবকিছু রুটিন মাফিক চলে। যেমন প্রতিদিন কাজের সময় খাবার সময় ঘোড়া কিয়ার সময় খেলার সময় আরো ইত্যাদি রুটিন অনুযায়ী চলে যেমন রাত শেষে দিন আসে সূর্য ডুবে আবার উঠে সবকিছুই রুটিন অনুযায়ী চলে। রুটিন বিহীন কোন কাজ নেই তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনা। তাই ছাত্র জীবনে পড়ালেখার আগ্রহী বাড়াতে রুটিং করে তাদের পড়াশুনা করা দরকার রুটিন অনুযায়ী পড়াশুনা করলে পড়াশোনার মনোযোগী ও আগ্রহ বাড়বে এবং সব সাবজেক্ট কভার করতে পারবে।
এমন একটি রুটিন তৈরি করতে হবে পড়াশোনার বিষয় কখন কোন বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করবে করবে তা রুটিন অনুযায়ী করতে হবে তাহলে পড়াশুনা চাপ কমবে মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে।
বেশি বেশি লেখার প্র্যাকটিস করতে হবে
শুধু পড়াশোনা করলেই হবে না সে পড়াশোনা ধরে রাখার জন্য বেশি করে লেখার প্র্যাকটিস করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় একটি পড়া বারবার পড়েও মনে রাখা কষ্টকর হয়ে যায় যদি আমরা সেই পড়াটা পড়ে বারংবার লিখি তাহলে সেটা সহজ হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ সয়াবিন তেলের উপকারিতা এবং অপকারিতা
তাই আমাদের উচিত পড়ার পাশাপাশি বেশি বেশি করে লেখার প্যাকটিস গড়ে তুলতে হবে এতে করে পড়াশুনার মনোবল ও আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। পড়া জিনিস বেশি করে লেখালেখি করলে সেটা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
পড়াশুনার মাঝে বিরতি নিতে হবে
আমরা যখন এখানে বেশীক্ষণ ধরে পড়াশুনা করে থাকি তখন আমাদের পড়াশুনা মনোযোগ কমে যায় এমন একটি টার্গেট নিতে হবে যে এই সময়ের মধ্যে আমি একটা বিষয় কমপ্লিট করব তারপর একটু বিরতি নিব আরে পড়ার মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়াটা অনেক দরকারি।
এই বিরতির সময় আপনি আপনার কিছু পছন্দের কাজ করতে পারেন যেমন পাঁচ মিনিট ধরে ঘুরাঘুরি করতে পারেন বাড়ির লোকজনের সাথে কথাবার্তা বললেন গল্প গুজব করলেন আড্ডা দিলেন তাছাড়া একটু টেলিভিশন দেখলেন বা আপনার কোন পছন্দের কাজ করলেন তাহলে দেখবেন আপনার পড়াশোনার আগ্রহ মনোবল বাড়বে।
মোবাইল বা ফোন থেকে দূরে থাকতে হবে
আমরা এমন কিছু করবো না যাতে করে পড়াশোনার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায় পড়াশোনার মনোযোগ বাড়াতে মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকতে হবে পড়াশুনা করার সময় হাতে মোবাইল থাকলে বন্ধু-বান্ধব মেসেজ ফোন কল দিবে এতে করে তাদের সঙ্গে চ্যাট করতে সময় অতিবাহিত হয়ে যাবে আর তাতে আমাদের মনোবল নষ্ট হয়ে যাবে।
অনেকে আছেন যারা রাত জেগে মোবাইল চালান রাতে ভালো ঘুম হয় না মন মেজাজ কিটমিটে হয়ে যায় এতে দিনের বেলা পড়াশুনায় মনোযোগী হতে পারেন না দৈনন্দিন জীবনে মানুষের প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমানোর দরকার আর আমরা সেই সময় যদি ফোন দেখে সময় কাটায় তাহলে ব্রেনের ব্যাঘাত ঘটে এতে পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়া যায়না তাই ফোন থেকে আমরা একটু দূরে থাকবো। তাতে আমাদের ভালো হবে সময় নষ্ট হবে না এবং পড়াশুনায় মনোযোগী হতে পারবেন।
পড়াশুনায় মন বসানোর টোটকা
পড়ার লেখায় মনোযোগী ও আগ্রহী হওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টোটকা অবলম্বন করতে পারেন। যেমনঃ
- শান্ত উপযুক্ত পরিবেশ
- রুটিন করে পড়া
- পড়ার মাঝে বিরতি
- সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ
- বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্টাডি
- শিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া
- পড়াশুনা করে নিজেকে পুরস্কৃত করা
- শারীরিক ব্যায়াম
- শারীরিক খেলাধুলা
- দলবদ্ধতা ভাবে প্রতিযোগিতা
- সঠিক ঘুম
- সঠিক চিন্তাভাবনা
আরো পড়ুনঃগেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে লিখিত বিষয়গুলোর উপর অনুধাবিত করে যেতে হবে এতে করে আমাদের পড়াশুনা উন্নতি ও মেধার বিকাশ ঘটবে।
শেষ কথাঃ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
সুপ্রিয় পাঠক বিন্দ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে এই পোস্টে চেষ্টা করেছি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় মনোযোগী বাড়ানোর বিভিন্ন দিক। আশা রাখছি এই পোস্টটি পড়লে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি এতে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটিতে শেয়ার করে দিতে একদম ভুলবেন না।
প্রিয় পাঠকরা আজকে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু আত্মীয় স্বজনের সাথে শেয়ার করুন খোদা হাফেজ।আবার দেখা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url